বেশি আম খাওয়ার বিপদ

কবি জসীম উদ্দীন মামার বাড়ি কবিতায় বলেছেন-
‘ঝড়ের দিনে মামার দেশে
আরও পড়ুন: রঙ ফর্সাকারী ক্রিমে যে ভয়ংকর ক্ষতি হচ্ছে আপনার
আম কুড়াতে সুখ’
আসলে আম কুড়াতে কেবল সুখই লাগে না, পাকা আম খেতে খুব মজাও লাগে। এই জৈষ্ঠ মাসে পাকা আম নিয়ে বিক্রেতারা হাট, বাজার ও ফুটপাতে বসতে শুরু করেছে। মৌসুম এলেই ফলের রাজা আমকে সবাই ইচ্ছেমতো খেতে পছন্দ করে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপদান থাকার কারণে স্বাস্থ্যের জন্যও বিশেষ উপকারী।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে কতবার ফ্রিজ বন্ধ করা উচিত, জানেন কী?
তবে কারও জন্য বেশি আম খাওয়া বিপজ্জনক, দেখা দিতে পারে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া।
আম খাওয়ার ব্যাপারে সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের হার্বার্ট এইচ. লেহম্যান কলেজের প্রভাষক ও নিবন্ধিত ডায়েটেশিয়ান দিনা আর. ডি’অ্যালেসান্দ্রো (এমএস, আরডিএন, সিডিনি) জানান, আমে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকার কারণে শরীরের জন্য বেশ উপকারী। তবে সবার জন্য নয়। ডায়েটেশিয়ান দিনা জানান, কারও যদি ল্যাটেক্সে অ্যালার্জি থাকে তাহলে অবশ্যই আম খাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন। আমের প্রোটিন ল্যাটেক্সের মতোই, তাই অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে।
এই পুষ্টিবিদ আরও জানান যে প্রাকৃতিকভাবেই অনেক মিষ্টি ও কার্বোহাইড্রেটযুক্ত হওয়ায় আম রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে।
আম প্রাকৃতিক চিনির একটি সমৃদ্ধ উৎস। তাই অনেকের প্রিয় এই ফলটি খেলে চট করে তার ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ জন্য আম খাওয়ার পূর্বে মেপে নিন আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা কত বা নিয়ন্ত্রণে আছে কি না।
আমে গাঁজনযোগ্য কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। তাই কারো যদি ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) এর মতো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা খাকে তাহলে এই মধুর ফলটিকে এড়িয়ে যেতে হবে। অথবা পরিমাণমত খেতে হবে।
আমে প্রচুর ক্যালোরি রয়েছে বলে ফলটি বেশি বেশি খেলে আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। ওজন বাড়াতে না চাইলে পছন্দের ফলটি খাওয়া সীমিত করুন।
অবাক করা ব্যাপার যে, আমের খোসাতে অনেক ফাইবার থাকে বলে খোসাসহ আম খেলে বরং আপনারই লাভ।