নাসিরনগরে সংঘর্ষ: থানার ওসি, নারী ও শিশুসহ আহত ১০

নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের কুলিকুণ্ডা গ্রামে জায়গা নিয়ে পুলিশের সামনেই সংঘর্ষে জড়িছেন দুই প্রতিবেশী অনুসারীরা। সোমবার (১৬ জুন) সকালে এই সংঘর্ষ হয়। এসময় নাসিরনগর থানার ওসি, শিশু ও নারীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। ০৬ জন চিকিৎসা নিয়েছে নাসিরনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, গুরুতর আহত ১ জনকে রেফার করা হয়েছে ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর হাসপাতালে। অন্যরা চিকিৎসা নিচ্ছেন বিভিন্ন এলাকায়।
নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের কুলিকুণ্ডা গ্রামের মধ্য পাড়ার আব্দুর রুম ও বাচ্চু মিয়ার অনুসারীদের মাঝে একটি জায়গা নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত ঝগড়া বিবাদ চলছে। বেশ কিছুদিন আগে আ: রুমের ছেলে কাউছার ব্রাহ্মনবাড়িয়া আদালতে ১টি মামলা করেছিল বাচ্চু মিয়ার অনুসারীদের নামে। মামলা চলমান অবস্থায়ই সংঘর্ষ হয় উভয় পক্ষের মাঝে।
আরও পড়ুন: ফের ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম রবি শিক্ষার্থীদের
গত ১৫/২০ দিন আগে বাচ্চু মিয়ার ছেলে এরশাদও নাসিরনগর থানায় ১টি মামলা করেছে আব্দুর রুম ও অনুসারীদের নামে। এনিয়ে দুই পক্ষের মাঝেই বাড়ছিল উত্তেজনা। সোমবার সকালে নাসিরনগর থানার ওসি’র নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, চেষ্টা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের। কিন্তু হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিবেশ, উত্তেজনার এক পর্যায়ে বেলা ১০ টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষের লোকজন। উভয় পক্ষ মিলে আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ ব্যক্তি। নাসিরনগর থানার ওসি খাইরুল আলম(৪২), জসীম মিয়া (৪৫), মামুনুর রশীদ (৩৬), ছায়াতুন্নেছা (৬০), শিল্পী আক্তার(৩০), হোসনেয়ারা বেগম (৪৫) ও মো. শাওন মিয়া (১০) চিকিৎসা নিয়েছেন নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। গুরুতর আহত জসীম মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর হাসপাতালে। মো. শাওন মিয়া (১০) মিয়ার বাড়ি উপজেলার কমলপুর গ্রামে। সে তার মায়ের সাথে কুলিকুণ্ডা গ্রামে আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আজম মৃধা বলেন, আজকে পুলিশ গিয়েছিল ৪৪ ধারা জারি হয়েছিল। পুলিশের সামনেই বাড়িঘর ভাঙচুর ও মারামারি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মাধবপুরে মানববন্ধন
নাসিরনগর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন কর্মচারী জানান, ওসি সাহেবের কানের উপরে মাথায় আঘাত লেগেছে। এ ব্যাপারে জানার জন্য নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ খাইরুল আলমের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে কল করলে থানার সেকেন্ড অফিসার চম্পক চক্রবর্তী কল রিসিভ করেন এবং দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকাকে জানান, ব্যথা পেয়েছে স্যারে……অন্য কেউ আহত হয়নি, আমাদের স্যারের গায়েই লাগছে মূলত।