নাসিরনগরে পুলিশের উপর হামলা, হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় পালাল ইউপি সদস্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার নূরপুর গ্রামে পুলিশকে মারপিট করে পালিয়ে গেছে চাঁদাবাজি ও বিস্ফোরক মামলায় অভিযুক্ত আসামি ইউপি সদস্য মাসুক মিয়া।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় গোকর্ণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে চাঁদাবাজি ও বিস্ফোরক মামলার আসামি মাসুক মিয়া (৪০) কে গ্রেফতার করতে নাসিরনগর থানার এসআই কামাল মিয়ার নেতৃত্বে অভিযানে যায় পুলিশের ১টি টিম।
আরও পড়ুন: ফের ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম রবি শিক্ষার্থীদের
স্থানীয় একাধিক সূত্র মতে, সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে মাসুক মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে থানায় নিয়ে আসতে চাইলে তার স্বজন, সমর্থক, সহযোগী শতাধিক নারী-পুরুষ চড়াও হয় পুলিশের উপর। শুরু হয় হট্টগোল, আতঙ্কগ্রস্ত পরিবেশে হ্যান্ডকাপ নিয়েই দৌড়ে পালিয়ে যায় মাসুক মেম্বার।
মারামারি ও পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও হ্যান্ডকাপ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযান পরিচালনাকারী এসআই ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মাধবপুরে মানববন্ধন
এসআই কামাল হোসেন বলেন, "আমরা যদি কথা কইতাম তাইলে মাইর খাইতাম... আরে না, না হ্যান্ডকাপ নেয় নাই, আমরা একটা কৌশল অবলম্বন করছি,.. অনেক খারাপ ব্যবহার করছে... কেউ মাইর খায়নি।"
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মারামারিতে আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩ পুলিশ সদস্য।
নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় মিজানুর রহমান (৩৬) ও ইমরুল কায়েস (২৯) নামে ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে সেখানে।
উল্লেখ্য, মাসুক মিয়া জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের হত্যা চেষ্টা মামলার ৯৭ নম্বর আসামি।
এ বিষয়ে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আজহারুল ইসলাম দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা'কে বলেন, "হ্যান্ডকাপ নিসে না... আসামি ধরতে গিয়েছিল, স্থানীয় লোকজনে ব্যারিকেড দেয়.. এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।"